1. admin@uttorbongerkhobor.com : admin :
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
টাঙ্গাইল জেলা জেটেব কমিটি গঠিত: কালিহাতীর বেতডোবায় সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা নওগাঁর বদলগাছি তে নজর কেড়েছে ১২শ কেজি ওজনের কালা মানিক “নিভৃত দীপের আলো” জমির জন্যে নিজ বাবা-মা আর চাচির হাতেই জীবন দিতে হলো নবম শ্রেনীতে পড়া জান্নাতির নওগাঁর নদী দখল ও দূষণে পরিবেশ হুমকির মুখে, সরেজমিনে পরিদর্শনে নদী রক্ষা কমিশন মান্দায় ডাচ্ বাংলা ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং জোতবাজার শাখার আয়োজনে গ্রাহকদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গ্রাহক সমাবেশ ও ওঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত নওগাঁ জেলায় এবার ২২ মে থেকে আম সংগ্রহ শুরু হবে রায়পুরায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা বরানগর ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুব কংগ্রেস কর্মীবৃন্দের পরিচালনায়,‌ রবীন্দ্র জয়ন্তী উৎসব এবং শিল্পী বরণ অনুষ্ঠান। টিকটকার সমাজ
বিজ্ঞপ্তিঃ
সম্মানিত পাঠকগণ, সকলের প্রতি সালাম "আসসালামু আলাইকুম" আপনাদের সহযোগিতা ও ভালোবসায় এগিয়ে যাচ্ছে অনলাইন(প্রিন্ট আবেদনকৃত) ভিত্তিক জনপ্রিয় গণমাধ্যম " উত্তরবঙ্গের খবর" সকল ধরনের সংবাদ সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

নওগাঁয় চাকরি হওয়ার পর অস্বীকার; স্ত্রীর স্বীকৃতি চেয়ে সংবাদ সন্মেলন

  • প্রকাশকাল: বুধবার, ৯ এপ্রিল, ২০২৫
  • ৪৯ বার পড়া হয়েছে

অন্তর ন্ওগাঁ সদর উপজেলা প্রতিনিধি:

নওগাঁয় স্বামীর স্বীকৃতি চেয়ে মৌসুমী খাতুন নামের এক নারী সংবাদ সন্মেলন করেছে। ভুক্তভোগি ওই নারী সোহেল রানা চয়েন নামের এক ছেলেকে বিয়ে করেছিলেন। করেছেন দীর্ঘ দুই বছর সংসার। অভিযোগ সরকারি চাকরি হওয়ার পর স্ত্রীর স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করছেন সোহেল রানা। তাই স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। করলেন সংবাদ সন্মেলন। বুধবার (৯ এপ্রিল) দুুপুরে শহরের একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে স্ত্রীর মর্যদা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

ভূক্তভোগী মৌসুমী খাতুন শহরের কোমাইগাড়া (কাটিয়াপাড়া) মহল্লার মনছুর আলীর মেয়ে। আর অভিযুক্ত সোহেল রানা চয়ন শহরের কোর্ট চত্বরে এলাকার মমিনুল ইসলামের ছেলে। বর্তমানে তিনি হাঁপানিয়া- বক্তারপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অফিস সহকারি হিসেবে কর্মরত আছেন।

সংবাদ সম্মেলনে মৌসুমী খাতুন বলেন, ২০২২ সালে সোহেল রানা চয়নের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর শুরু হয় নির্যাতন। প্রায় মারপিটসহ মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে আমার স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। এমনকি শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিতে হয়েছে একাধিকবার। এসব নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে গেলে আমাকে তালাকসহ হত্যার হুমকি দেওয়া হতো। তারপরও পরিবারের সুখের কথা চিন্তা করে সকল অন্যায় নির্যাতন সহ্য করে সংসার করছিলাম। এক পর্যায়ে তার পরিবারের কুপরামর্শে আবারো নির্যাতন ও মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে বোনের বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নিই। তার কিছুদিন পরে আমার স্বামী সোহেল রানা আবারো যোগাযোগ করে এবং তার ভুল হয়েছে স্বীকার করে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দেয়।

মৌসুমি বলেন, সোহেল রানা চাকরি পেলে আলাদা ভাবে সংসার শুরু করবে এই আশ্বাসে আমার ফুফুর বাসায় এবং বোনের বাসায় এসে আমার সাথে গোপনে সংসার করে। এবং বিষয়টি তার পরিবারের কাছে গোপন রাখতে বলে। এইভাবে এক বছর সংসার করি আমরা। এরই মাঝে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে আমার স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যরা জোরপূর্বকভাবে আমার গর্ভের বাচ্চা নষ্ট করে দেয়। তারপরও সংসার করে আসছিলাম।

একপর্যায়ে ভূমি অফিসে চাকরির জন্য আমার বাবা এবং বোনের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা নিয়ে দিই। এর কিছুদিন পরে আমার স্বামীর ভূমি অফিসে অফিস সহকারি পদে চাকরি হয়। চাকরি পাওয়ার পর থেকে তার আসল রুপ শুরু হয়। আমার সাথে আবারো বৈরী আচরণ শুরু করে। এর মাঝে জানতে পারি আমার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছে। বিষয়টি জানার পর খোঁজ নিতে বড় বোনকে সাথে নিয়ে আমার স্বামীর বাড়ি গেলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ দেড় বছর আগে তালাক দিয়েছে বলে জানান। কিন্তু এ পর্যন্ত তার পেছনে আমার গহনা, আসবাব পত্র ও নগদ টাকাসহ মোট ৭লাখ টাকার মত দিয়েছি।

স্বামীর সংসারে ফিরে যাবার জন্য বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে কোন উপায় না পেয়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতে দুটি মামলা করেছি। কিন্তু তার বড় ভাই নয়ন বিভিন্নভাবে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এবং ডিসি অফিসে চাকরি করে এমন পরিচয় দিয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করে আসছেন। তাই দ্রুত প্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে সঠিক বিচারের দাবি জানান।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মৌসুমী স্ত্রী ছিল স্বীকার করে অভিযুক্ত সোহেল রানা চয়ন বলেন, আমি তাকে তালাক দিয়েছি। সে আমার নামে আদালতে মামলা করেছে বলে জেনেছি। এখন আদালতের মাধ্যমেই বিষয়গুলো সমাধান করা হবে। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সঠিক নয়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এরকম আরো সংবাদ পড়ুন
© Developed by Borendro IT
Theme Customized By BreakingNews