রিপোর্টার সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা , পশ্চিমবঙ্গ
আজ ২রা মে শুক্রবার, ঠিক বিকেল পাঁচটায়, মুরলীধর লেনের, উত্তর কলকাতা ভারতীয় জনতা পার্টি অফিস থেকে জোড়াসাঁকো থানা ঘেরাও অভিযান করলেন,
মেছুয়ায় ভয়াবহ উনি কাণ্ডের প্রতিবাদে, এবং ১৫ জন নিরীহ মানুষের প্রাণ চলে যাওয়ায় এই প্রতিবাদ মিছিল,তার সাথে সাথে কলকাতার মহানগরীক ও মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের পদত্যাগের দাবিতে, , অগ্নি নির্বাপক মন্ত্রী সুজিত বোসের পদত্যাগের দাবীতে, এবং দোষী পুলিশ অফিসারদের শাস্তির দাবীতে এই প্রতিবাদ অভিযান ও থানা ঘেরাও। এবং দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।
এই প্রতিবাদ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, লড়াকু ও বর্ষিয়ান নেতা তাপস রায়, তমাগ্ন ঘোষ, ইন্দ্রনীল খান, সজল ঘোষ, প্রীতম, মহিলা মোর্চার নেত্রী পূর্ণিমা সহ অন্যান্য মহিলা নেতৃবৃন্দ ও সকল বিজেপি সদস্যরা।
বিজেপির উত্তর কলকাতা অফিস থেকে যখন মিছিল জোড়াসাঁকো থানার কাছাকাছি পৌঁছায়, তার অনেক আগেই পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেন তাদের প্রতিবাদ মিছিল। এবং ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন, তারা বারবার প্রশাসনকে বলতে থাকেন অবিলম্বে তাদের থানায় ঢুকতে দেয়া হোক, বেশ কিছুক্ষণ ব্যারিকেডের সামনে প্রতিবাদ করার পর তারা সেখানেই সমাবেশ করেন। এবং বেশ কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন।
তারা দমকল মন্ত্রী সুজিত বোসের পদত্যাগের দাবী জানান, কেন এরকম একটি জায়গায় দমকল আসতে দেরী হল এবং এত জনের প্রাণ গেল। কলকাতার মহানগরীক ও মন্ত্রী ফিরাদ হাকিমকে বিভিন্নভাবে আক্রমণ করেন, অবিলম্বে তার ও পদত্যাগের দাবি জানান, কিভাবে এই ধরনের ব্যবসা চলছে, কিভাবে একের পর এক বিল্ডিং এ বেআইনি কাজকর্ম চলছে, ঋতুরাজ হোটেলে কিভাবে এই সকল পারমিশন দেয়া হলো,এর সাথে সাথে আবগারি দপ্তর কেউ অভিযোগ করলেন, শুধু তাই নয় ঐদিন যে সকল অফিসারের উপস্থিতিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে তাদের কেউ শাস্তি দিতে হবে, এমনকি এরকম একটি জায়গায় কিভাবে প্রশাসন বিনা পারমিশনে পার্কিং করেন তার জবাবও দিতে হবে। কেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বোস বললেন যে বেআইনি পার্কিংয়ের জন্য আমাদের গাড়ি ঢুকতে অসুবিধা হয়েছে ,তার জবাব অফিসারদের দিতে হবে। যে ১৫ জন নিরীহ মানুষ অগ্নিদগ্ধে ও শ্বাসকষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন তাদের পরিবারের দায়ভার কে নেবেন। এর সাথে সাথে এলাকার যিনি মাথা সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিবেক গুপ্তা কেন আজও পর্যন্ত এরকম একটি অগ্নিকাণ্ডে আসলেন না। এতগুলো মানুষের প্রাণ গেল চুপ করে রয়েছেন , না অন্য কোথাও পালিয়ে গিয়েছেন তার জবাব দিতে হবে এবং আমরা তাদের বিরুদ্ধে এফ আই আর করব। আমাদের কাছে খবর আছে এখানে পয়সার বিনিময় বিভিন্ন রকম বেআইনি কাজকর্ম চলে তাই আমরা আবারো প্রশাসনকে সাবধান করে দিচ্ছি অবিলম্বে আপনারা সঠিক নিয়মের মাধ্যমে কাজকর্ম করুন, বেআইনি কাজকর্ম করা বন্ধ করুন, কিভাবে এরকম একটি হোটেলে ডান্স বার করা হলো, আমাদের কাছে আরো খবর আছে এই এলাকায় আরো বেশ কয়েকটি বেআইনি কাজকর্ম চলছে। পুলিশ অফিসারদের কড়া ভাষায় ভৎসনা করলেন, এমনকি বললেন আপনাদের পরিবার ও ছেলে মেয়েদের কাছে কি জবাব দেবেন, আপনার পরিবার ও ছেলেমেয়েরা কি তৈরি হবে, আপনারা কত টাকা মাইনে পান, আপনারা বিভিন্নভাবে বেআইনি টাকা নেন।
সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার মধ্য দিয়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেউ ছেড়ে কথা বললেন না বিজেপি কর্মীরা ও নেতারা, বললেন সারা জীবন শুধু মিথ্যা কথা, আর একের পর এক ঘটনা ধামা চাপা দেওয়া, আজ কলকাতার বুকে এরকম একটি অগ্নিকাণ্ডে এতজন মানুষের প্রাণ গেল অথচ তিনি আজও আসার সময় পেলেন না, এমনকি কতজন মারা গেছে সঠিক সংখ্যাও আজও বলতে পারেন নি ১৪ জন না ১৫ জন। দীঘায় বসে মা মাটির মানুষ জয় জগন্নাথ করছেন, এইদিকে এতগুলি পরিবার ভেসে গেল। নাটকের পর নাটক করে যাচ্ছেন, আর আমরা ছেড়ে কথা বলবো না। যতদিন না দোষীদের শাস্তি হবে, আমরা এই সকল পরিবারের পাশে থাকবো, আন্দোলন আরো জোরদার করে তুলবো। তারা পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা আমাদের কে ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দিয়েছেন, কিন্তু আমরা যদি মনে করতাম, দেখতাম আপনারা কিভাবে ব্যারিকেড আমাদেরকে আটকে দিতে পারতেন, তাই এখনো সময় আছে, আপনারা সঠিক আইনের মাধ্যমে কাজ করুন, এরপর পুলিশ অফিসারের মাধ্যমে বিজেপি কর্মীরা জোড়াসাঁকো থানার ভেতর ঢোকেন ।