কারিমা খাঁন দুলারী,খুলনা জেলা ফুলতলা
এই তুমি ভেবে দেখো,
গোধূলি লগ্নে সূর্যটা ঐ বিশাল সাগরের বুকে গহীন অন্তরালে অতল গহ্বরে,
দিশাহারা হয়ে মরীচিকার মত ছুটে যায়,
দুজন দুজনের স্পর্শ করে কত যে কাছাকাছি।
আচ্ছা বুঝি না তো কি সুখ খুঁজে পায় ?
জানো তুমি ?
হৃদয়ের অনুভূতির বন্ধনে একাকার হয়ে কেন গভীরে আবদ্ধ হয়?
আমি এই বিষাদ উদাস সাগরকে খুব ভয় পাই,
কখনও জানতে তুমি ?
তুমি কি জানতে এর ঢেউ কত যে ভয়ঙ্কর ধ্বংসের কম্পন বেগে তীব্র গর্জন করে ওঠে?
এ যেন দিশাহারা হয়ে গ্রাস করে জীবন,
জানো ?
সাগরের বুকে ঢেউ এলে নিস্তার রাখে না।
ঐ সৈকতের ধু ধু বালুর চরে পড়ে থাকতে দেখা যায় কত আত্মা,
ঐ ঢেউ এর প্রলোভন গর্জন শুনলে আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয় ।
মনে হয় ঐ বিষাদ পাহাড়ের হিমালয় টা আমার বুকের উপর চেপে রয়েছে ,
তখন আমার দেহ মন শিউরে উঠে থরথর কাঁপনে,
তুমি কি জানো,
শুধু মাত্র এ বুকের দহন জ্বালা যন্ত্রণা নিভাতে,
একটু শান্তি পাবার আশায়,
আমি ছুটে আসি সংগোপনে অনুরাগে
এই সাগরের বুকে,
আরে আমি তো বিভোর ভাবে আনমনে বসে ভাবি অধির হয়ে,
সূর্যটা ঐ সাগরের স্রোতের টানে অবিরাম অবিরত,
মন পবনের ভেলায় চড়ে মিশে যাই ঐ সাগরের বুকে,
আমি জানি না কি সুখ সেথায় খুঁজে পায়,
জানো, আমি এক চাতক পাখির মত এক দৃষ্টিতে চেয়ে চেয়ে দেখি কি প্রবহমান,
কি এক অদ্ভুত কান্ড তাই না?
আচ্ছা চলো না ঠিক ঐ ভাবে আমরা দুজনে স্রোতের ভেলায় ভেসে ভেসে,
এক অচেনা অজানা মোহনায় চলে যাই,
যেখানে তুমি আমি ছাড়া আর কেউ থাকবে না।
কোনো এক অচিন পুরের দেশে হারিয়ে যাই,
দেখো না, রাত আঁধারে আচ্ছাদিত হয়ে এলো,
পানি টলমল করছে টিপটিপ আলোয়,
কি নির্জন নিহারিকা নিরব নিস্তব্ধ।
সূর্যটা প্রহর গুনে শান্তির দীর্ঘশ্বাস ফেলে,
ঐ সাগরের অতল গহ্বরে স্রোতের বুকে ডুবে রয়।।।