নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁয় নিজ নামে ইজারাকৃত সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন আলহাজ্ব ইউসুফ আলী কবিরাজ নামের এক ভুক্তভোগী , তিনি শহরের কাজির মোড় এলাকার চাক এনায়েত গ্রামের ইয়াকুব আলী কবিরাজের পুত্র।
সমবার মুক্তির মোড় সমবায় মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় পার্ক ভিউ রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন আমি নওগাঁ সদর উপজেলাধীন চকএনায়েত মৌজার সাবেক খতিয়ান ৩,৪,৫ ও,৭ এবং সাবেক দাগ ৭৭ এর ভি,পি ৫৭/৮০ নম্বর কেস ভূক্ত সম্পত্তির ২০ শতাংশ এর কাতে ০৫ শতাংশ ভূমি ইজারা গ্রহিতা। দীর্ঘ প্রায় ৪৬ বছর যাবৎ নিয়মিত সরকারি রাজস্ব পরিশোধ করে শান্তিপূর্ণভাবে আমি তা ভোগদখল করে আসছি। সম্প্রতি কতিপয় কিছু ভূমিদস্যু আমার ইজারাকৃত সম্পত্তি থেকে আমাকে উচ্ছেদ করতে এবং উক্ত সরকারি সম্পত্তি বিভিন্ন কায়দায় দখলের চেষ্টা করে আসছে। শহরের কাজীর মোড় এলাকার আব্দুল কাদেরের পুত্র মােঃ লালন, করনেশনপাড়ার , দহির উদ্দিনের পুত্র মােঃ লিটন, মৃত সোলেমান আলীর পুত্র মোঃ বাবু, হাবিব, মোঃ রুবেল, মোঃ রাহেন, মােঃ মানিকসহ অজ্ঞাত আরও বেশ কয়েকজন সঙ্ঘবদ্ধ ভূমিদস্যু, সন্ত্রাসী বাহীনি দীর্ঘদিন ধরে আমার ইজারাকৃত সরকারি সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করে আসছে। বিগত দিনে ওইসব ভূমিদস্যুদের হাত থেকে আমার ইজারাকৃত সরকারি সম্পত্তি দখল এবং সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মান বন্ধ সহ আমার বাড়ির সম্মুখে আইন শৃঙ্খলা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে নওগাঁ সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মামলা দায়ের করি। সে মামলায় বিজ্ঞ আদালত ২৪/০৭/২৪ইং তারিখে সম্পূর্ণ পর্যালোচনান্তে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা আদেশ দেন। আমার ইজারাকৃত সম্পত্তি আমার চলাচলের একমাত্র রাস্তা যা বন্ধ হয়ে গেলে আমি ও আমার পরিবার সম্পূর্ণরূপে অবরুদ্ধ হয়ে পড়বো। বিগত ১৭/০১/১৯৮৯ তারিখে উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) এতদ্বাসংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেন, যাতে তিনি স্পষ্ট উল্লেখ করেন, উক্ত সম্পত্তিটি অন্যত্র ইজারা প্রদান করলে বর্তমান লীজ গ্রহীতার বাড়ির সৌন্দয্য এবং চলাচল দুষ্কর হয়ে পড়বে। সেই সাথে তিনি উক্ত সম্পত্তি অন্যত্র ইজারা প্রদান না করে আমার নামে ইজারা প্রদানের আদেশ দেন। আমার ০২/০৪/৮০ ইং তরিখের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিগত ২৬/০১/৮১ ইং তারিখে ৩ শতাংশ সম্পত্তি আমার নামে ইজারা প্রদান করলে পরবর্তীতে ৩০/০১/৮৭ ইং তারিখে আমার চলাচলের সুবিধার্থে আরও ২ শতাংশ সম্পত্তি ইজারা আদেশ দেন তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব)। বর্তমানে উক্ত সম্পত্তিতে আমি দখলে থাকলেও উপরোক্ত কুচক্রী মহল বিভিন্ন ভাবে আমাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও হয়রানি করে আসছে। এমতাবস্থায় আমি এবং আমার পরিবার নানা আতঙ্ক ও শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছি।
তিনি তার বক্তব্যে দেশের প্রচলিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে প্রসাশনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিকট অতি সত্তর সরকারী সম্পত্তি অবৈধভাবে দখল চেষ্টায় দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জানান, সেইসাথে তিনি ও তার পরিবারের চলাচলের সুবিধার্থে সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে আমার ইজারার মেয়াদ দীর্ঘ সময় পর্যন্ত অথবা স্থায়ী ইজারার ব্যবস্থা করার জন্য রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত লালন বলেন, কারও সম্পত্তি দখল করিনি আমি আমার পৈতিক সম্পত্তির উপর দোকান নির্মান করেছি। আর ওই জায়গা যেহেতু সরকারি সম্পত্তি সেজন্য জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত রাখতে সকলে মিলে জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছি।