ভুক্তভোগী আঙ্গুরী আক্তার বলেন, চাল দেওয়ার আগে গ্রাম পুলিশ মো.আলামিন হুমকি দিয়ে জোড় করে ১হাজার টাকা নিয়েছে চেয়ারম্যান এর নাম করে। টাকা না দিলে চাল দিতোনা। বাধ্য হয়েই টাকা দিতে হয়েছে।
সাবিনা ইয়াসমিন নামের ভুক্তভোগী বলেন, ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম রিঙ্কু আমার কাছে থেকে চেয়ারম্যানের কথা বলে চাল দেওয়ার জন্য ১হাজার টাকা নিয়েছে। যদি টাকা না দেই তবে চাল দিতে পারবেনা বলে হুমকি দিয়েছিল। তাই টাকা দিয়েই চাল নিতে হয়েছে।
সাজেদা বেগম, আনোয়ার হোসেন, সুলাইমান আলীসহ স্থানীয় আরও বেশ কয়েকজন বলেন, ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশদের সহযোগিতায় প্যানেল চেয়ারম্যান সোহেল রানা যোগসাজস করে কার্ডধারীদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে হুমকি দিয়ে ১হাজার টাকা করে নিয়েছে। যেটা নেওয়ার কোন নিয়ম নেই। তাদের পকেট ভরাতেই উপকারভোগীদের সাথে প্রতারণা করেছেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত সবার কঠিণ শাস্তির দাবি করছি।
স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, জনপ্রতিনিধিদের কাজ জনসেবা করা। কিন্তু তারাই যখন জনগনের গলার কাঁটা হয়, তখন তাদের কাছে ভালো কোন সেবা প্রত্যাশা করা যায়না। এখানে প্রায় ২শতাধিক মানুষ জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করছে। এই ঘটনা যদি সত্যি হয়ে থাকে তাহলে জড়িতদের আইন এর আওতায় আনা হোক।
অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ মো. আলামিন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইউপি সদস্য শাহানাজ পারভীন ও প্যানেল চেয়ারম্যান সোহেল রানার নির্দেশে আমি ৪০জনের কাছে থেকে ১হাজার করে টাকা তুলেছি। তাদের নির্দেশে আমি এটা করেছি। আমি ব্যক্তিভাবে করিনি।
ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলাম রিঙ্ক সকল অভিযোগে অস্বীকার করে বলেন, আমি কারো কাছে থেকে টাকা নেইনি। আমার ৩নং ওয়র্ডে এসে খোঁজ নিতে পারেন। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
তিলকপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সোহেল রানা বলেন, চাল দেওয়া বেশ কয়েকদিন আগে। ইউপি সদস্য বা গ্রাম পুলিশ যদি টাকা নিয়ে থাকে তাহলে সাথে সাথে জানালোনা কেন। আর এই টাকা নেওয়ার সাথে আমি কোন ভাবেই জড়িত নয়। এগুলো মিথ্যা অভিযোগ।
বিষয়গুলো নিয়ে কথা হলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও ) ইবনুল আবেদীন বলেন, সুবিধাভোগীর কাছে থেকে কোন ধরনের টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই। যদি কেউ নিয়ে থাকে এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রমাণ মেলে তবে অব্যশই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।