নাদিম হায়দার মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
হার্নিয়ার ব্যথার চিকিৎসা নিতে গেলে খাড়্রা আদর্শ ডিগ্রী কলেজ, নবাবগঞ্জ এর দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী কিশোর আশিক রানার(১৮)অন্ডকোষ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতাল এর বিরুদ্ধে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আনুমানিক সকাল ০৯:০০ ঘটিকার সময় অসুস্থ হয়ে পরলে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি হয়। ভর্তি বাবদ নগদ ১৫,০০.০০/-(পনের হাজার) টাকা নগদ প্রদান করি। ভর্তি করানোর পরে কর্তব্যরত ডাক্তার ভর্তি প্রয়োজনীয় টেষ্ট দেয়। টেষ্ট করানোর পর টেষ্ট রিপোর্টে হার্নিয়া এন্ড ভেরিকোচ হয় বলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানায়। জরুরী হার্নিয়া এন্ড ভেরিকোচ ‘অপারেশন করাতে হবে এবং অপারেশনের জন্য প্রতিদিন হাসপাতালের সিট ভাড়া ৭০০ (সাতশত) টাকা বাবদ তাদের কথা মতো একই তারিখ ভর্তি করা হয়। ১৮/০৯/২০২৪ তারিখ আমার ছেলের অপারেশন হয়। অপারেশনের সময় সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ঔষুধ পত্রের টাকা আমি বহন করি। অপারেশনের ০৪দিন পর অর্থাৎ ২১/০৯/২০২৪ তারিখ আমার ছেলে সম্পূর্ন সুস্থ না হলেও সুস্থ্য বলিয়া আমার ছেলেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জোড় পূর্বক ছাড়পত্র প্রদান করেন। ছাড়পত্র প্রদানের ০৭ দিন পর আমাদেরকে হাসপাতালে উক্ত অপারেশনের সেলাই কাটার জন্য আসতে বললেও ০৩দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমার ছেলে মাত্রারিক্ত অসুস্থ্য হয়ে পরলে পুনরায় আমার ছেলেকে ঢাকায় নিয়ে এসে একই হাসপাতালে ২৪/০৯/২০২৪ তারিখ ভর্তি করানো হয়। ভর্তি হওয়ার পর আমার ছেলে হার্নিয়া এন্ড ভেরিকোচ অপারেশনে ইনফেকশন হয় বলিয়া উক্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইনফেকশন হওয়ায় তাকে ভর্তি করানোর পরামর্শ প্রদান করিলে আমি আমার ছেলেকে উক্ত হাসপাতালে একই তারিখ ভর্তি করাই। ভর্তি হওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার ছেলের চিকিৎসা চালিয়ে যায়। আমার ছেলে কিছুটা সুস্থ হলে দ্বিতীয় বার আবার ইং ০৫/১০/২০২৪ তারিখ অপারেশন করিলেও হাসপাতালের দায়িত্বরত ডাক্তার ছাড়পত্র সার্টিফিকেে ০৬/১০/২০২৪ তারিখ উল্লেখ করিয়ে আমার ছেলেকে ১৫/১০/২০২৪ তারিখ সম্পূর্ন সুস্থ না হইলেও সুস্থ্য বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জোড় পূর্বক ছাড়পত্র প্রদান করেন। উল্লেখ যে, ২৪/০৯/২০২৪ তারিখ হইতে ১৫/১০/২০২। তারিখ পর্যন্ত আমার ছেলে উক্ত হাসপাতালে ভর্তি ছিল এবং তার ব্যয় মোট ৪,০০,০০০/-(চার লক্ষ) টাকা প্রদান করিয়া আমি ছাড়পত্র গ্রহন করি। ছাড়পত্র গ্রহন করিয়া আমার ছেলেকে আমি আমার গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাই। গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেলে আমার ছেলে পুনরায় আবার অসুস্থ হইয়া পড়লে “জেনারেল ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ রংপুর নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রংপুরের ডাঃ হামিদুর রহমান, অধ্যাপক ডাঃ বিমল চন্দ্র রায়। এবং ডাঃ মো: আহাসানুর রহমান (আপেল) এর নিকট চিকিৎসা করাই। তাহারা আমার ছেলের বিভিন্ন পরীক্ষা নীরিক্ষা করে আমাকে জানায় যে আমার ছেলেকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ডাক্তার ভুল চিকিসা প্রদান করিয়া আমাদের অনুমতি না নিয়ে আমার ছেলের বাম পাশের অন্ডকোষ ফালাইয়া দিছে। আমার ছেলের ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভুল চিকিৎসা প্রদান করায় এ পর্যন্ত সর্বমোট প্রায় ২০,০০,০০০/-(বিশ লক্ষ) টাকা খরচ হয়েছে। উক্ত বিষয়ে আমি নির্বাক হয়ে উপায়ন্ত না পাইয়া আমি আমার আত্মীয় স্বজনদের সাথে আলোচনা করে থানায় সুত্রপুর অভিযোগ দায়ের করি। এতে ডাক্তার ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলেকে প্রাণনাসের হুমকি প্রদান করে এবং আমাকে বলে যে আপনারা আমাদের কিছুই করতে পারবেন না এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না আপনাদের ক্ষতি হবে। আমি উপায় না পেয়ে ন্যায় বিচার পেতে ঢাকা সিএমএম কোর্টে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে মামলা করি যার মামলা নং ৮৬২৫
এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার এসআই মো. আলআমিন জানায়, আমার জানামতে এ বিষয়ে কোর্টে মামলা হয়েছে তবে এখনো তদন্ত আসনি, আসলে যথাযথ ব্যবস্থা নিব।
মোবাইল -০১৮২৫৬৯৩৩৯৪
তারিখ – ১৮/৪/২৫ইং