1. admin@uttorbongerkhobor.com : admin :
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
নওগাঁয় ভিজিডি কার্ডে ৫ মাসের চাল পেতে টাকা আদায়, প্রতিবাদে বিক্ষোভ নওগাঁয় মিডিয়া কাপ প্রীতি ফুটবল ম্যাচ আগামীকাল নওগাঁয় ইজারাকৃত সম্পত্তি অবৈধ দখল চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন রাজশাহী বাগমারা’য় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত -১ আহত-২ বদলগাছীতে দাবী মৌলিক উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে সমৃদ্ধি কর্মসূচীর আওতায় উপজেলা দিবস উদযাপন। কালিহাতীতে কৃষি অফিসের উদ্যোগে জাঁকজমকপূর্ণ পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত পুষ্টি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন ও টেকসই কৃষির প্রতি গুরুত্বারোপ আমতলী উপজেলা অন্তর্গত আঠারগাছিয়া ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণ। টাঙ্গাইল জেলা জেটেব কমিটি গঠিত: কালিহাতীর বেতডোবায় সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা নওগাঁর বদলগাছি তে নজর কেড়েছে ১২শ কেজি ওজনের কালা মানিক “নিভৃত দীপের আলো”
বিজ্ঞপ্তিঃ
সম্মানিত পাঠকগণ, সকলের প্রতি সালাম "আসসালামু আলাইকুম" আপনাদের সহযোগিতা ও ভালোবসায় এগিয়ে যাচ্ছে অনলাইন(প্রিন্ট আবেদনকৃত) ভিত্তিক জনপ্রিয় গণমাধ্যম " উত্তরবঙ্গের খবর" সকল ধরনের সংবাদ সবার আগে পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

জিআই তালিকায় টাঙ্গাইলের আরেক গর্ব — ‘জামুর্কীর সন্দেশ’

  • প্রকাশকাল: শুক্রবার, ২ মে, ২০২৫
  • ৫৪ বার পড়া হয়েছে

শাহ আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলের মিষ্টি নিয়ে কথা উঠলে সবার আগে আসে ‘চমচম’-এর নাম। তবে এবার সেই তালিকায় যোগ হলো আরেক ঐতিহ্যবাহী স্বাদ—মির্জাপুরের জামুর্কীর সন্দেশ। এটি এখন শুধু মিষ্টি নয়, ভৌগোলিক নির্দেশক (GI) পণ্য হিসেবে স্বীকৃত।

ঐতিহ্য থেকে স্বীকৃতির পথচলাঃ

জানা গেছে, জামুর্কীর সন্দেশের সূচনা ব্রিটিশ আমলে, মদন মোহন সাহার হাত ধরে। পরে তাঁর পুত্র কালীদাস সাহা দুধ, চিনি, মসলা ও পাটালিগুড় দিয়ে তৈরি করেন নতুন স্বাদের সন্দেশ—যা আজও বহন করছে প্রজন্মের গৌরব। সময়ের পরিক্রমায় এই মিষ্টান্ন পরিণত হয়েছে একটি সাংস্কৃতিক সম্পদে।

জিআই সনদের প্রাপ্তি ও গর্বের মুহূর্তঃ

২০২৪ সালের ১ এপ্রিল জামুর্কীর সন্দেশের জন্য আবেদন করে জেলা প্রশাসন। দীর্ঘ এক বছরের অপেক্ষার পর অবশেষে সেই স্বীকৃতি এসেছে। গত বুধবার বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্প ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের হাত থেকে সনদ গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক।
লোকগাথা নয়, বাস্তব বাজারও চাঙাঃ

প্রতিদিন জামুর্কী বাজারে কয়েক হাজার কেজি সন্দেশ বিক্রি হয়। দোকান রয়েছে মাত্র কয়েকটি, কিন্তু চাহিদা সারাদেশে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ব্যবসায়ী সমর সাহা বলেন, “জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও স্বাদে কিন্তু একচুলও ছাড় দিই না। এখন তো দেশের বাইরেও মানুষ খোঁজ করেন আমাদের সন্দেশ।”

সরকারি কর্মকর্তাদের উচ্ছ্বাসঃ

জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, “টাঙ্গাইলের তাঁত, চমচম, আনারসের মতো জামুর্কীর সন্দেশও দেশের গর্ব। এই স্বীকৃতি আমাদের ঐতিহ্য রক্ষার পথে এক বড় মাইলফলক।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আরিফুল ইসলাম জানান, “যারা সন্দেশ তৈরি করেন, সরকার তাঁদের প্রাপ্য সম্মান দিতে পেরেছে—এটাই আমাদের সার্থকতা।”

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

এরকম আরো সংবাদ পড়ুন
© Developed by Borendro IT
Theme Customized By BreakingNews